জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
তিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের পর এবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এলএসডিসহ আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম ওজনের ১২ পিস ব্লটার পেপার, এলএসডি বিক্রির নগদ ৪৬ হাজার টাকা, একশ মার্কিন ডলার, গাঁজা, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ (২০), এস এম মনোয়ার আকিব ওরফে আনান (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বি এম সিরাজুস সালেকীন ওরফে তপু (২৪)। তারা সবাই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সাইফ, আনান ও সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সাইফের কাছ থেকে এলএসডি মিশ্রিত তিন পিস ব্লটার পেপার, আকিবের কাছ থেকে এক পিস ব্লটার পেপার সাকিবের কাছ থেকে এক পিস ব্লটার পেপার উদ্ধার করা হয়।
উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকেও ছয়টি ব্লটার পেপার ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
উপ-কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা গত এক বছর ধরে এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছিলেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক কিনে কুরিয়ার ও বিভিন্ন ব্যাগেজের মাধ্যমে দেশে আনতো। এলএসডি মাদক সেবন ও বিক্রির চক্রে আরও অনেক সদস্য রয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা চৌদ্দ-পনেরটি এলএসডি মাদক সেবন ও বিক্রির গ্রুপের সন্ধান পেয়েছি। যে পাঁচ জন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা এলএসডি মাদক সেবনের পাশাপাশি ব্যবসা করতো। আমরা অন্যান্য গ্রুপগুলোকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
এর আগে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে দুইশটি এলএসডি মাদক মিশ্রিত ব্লটার পেপার উদ্ধার ও তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এলএসডি মাদক পুরানো হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত তরুণরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি মাদক কিনে এনে বিক্রি করছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তাদের রোববারই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি নিয়েছে আদালতের কাছ থেকে। বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত এ মাদক কীভাবে আসছে, এর ব্যবহার কতটা ছড়িয়েছে, সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৎপরতার মধ্যে আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের খবর এলো।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন