কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিন করুন : মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বেসরকারী ও কিন্ডারগার্ডের স্কুল শিক্ষকদের প্রনোদনা দেয়ার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানিয়ে জাতীয় পার্টি-জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলেঅ প্রায় ১৫মাস যাবত বন্ধ। ফলে সেই স্কুলের সাথে জড়িত শিক্ষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। এরই মধ্যে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের অর্থনৈতিক অবস্হা খুবই খারাপ। তাই তাদের জীবন রক্ষায় সরকারের উচিত বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা।

মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক জাতীয় মঞ্চ “আসন্ন বাজেটে কিন্ডরগার্ডেন স্কুল ও স্কুল শিক্ষকেদের প্রনোদনার জন্য বিশেষ বরাদ্দ, স্বাস্থ্য বিধি মনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং ফ্রী ফায়ার ও পাবজি বন্ধ করার দাবীতে” মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের কেউ কেউ স্কুল বিক্রি করে দিচ্ছেন টাকার অভাবে। না জানি আরো কত শিক্ষকের করুন অবস্হা কাটছে এই ক্রান্তিকালীন সময়ে। দেখার মত কেউ নেই বললেই চলে। সরকারের উচিত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ এই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা দেরকে প্রণোদনা দেয়ার লক্ষে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা।

সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? প্রকৃত অর্থে সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতিই এর মূল কারন। সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশের সন্তান বিদেশে থাকে। যাদের পরিবার-পরিজনের কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।

অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক জাতীয় মঞ্চের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়কারী মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, শিক্ষক নেতা সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা মো. আহসান সিদ্দিকী-সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করে কন্ঠশিল্পী শান্ত।

অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক জাতীয় মঞ্চ পক্ষ থেকে মানববন্ধন থেকে ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়। দাবীগুলো হলো : ১. সরকার ঘোষিত ১৩ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, ২. করোনা সংকটের কারনে মানবেতর অবস্থা উত্তোরনে কিন্ডারগার্ডেন ও সমমানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাহার্য্যার্থে আস্ন্ন বাজেটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নূণ্যতম দশহাজার কোটি টাকা আর্থিক প্রনোদনার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়া, ৩. করোনা অবস্থা উন্নতি হলে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০১১ এ্ং সংশোধিত বিধিমালা ২০১২'র আলোকে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া গতিশীল করা, ৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে পানি-বিদু্যৎ বিল আবাসিক হারে নির্ধারন করা, ৫. কিন্ডারপার্ডেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কিন্ডারগার্ডেন বোর্ড গঠন করা এবং শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষনের আওতায় আনা এবং ৬. জাতীয়র ভবিষ্যত শিশু-কিশোরদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে অনলাইন গেমস (পাবজি-প্যি-ফায়ার), টিকটকসহ সকল আশ্লীল সাইড বন্ধ করতে জরুরী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন