জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের ফলে ৯১টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দেশগুলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (কোভিশিল্ড) ও আসন্ন নোভাভ্যাক্সসহ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইআই) ওপর নির্ভরশীল ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র মুখ্য বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন এনডিটিভিকে বলেন, ‘৯১টি দেশ সরবরাহের ঘাটতির কারণে প্রভাবিত হয়েছে।’
‘বিশেষ করে যেহেতু অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্যারেন্ট সংস্থা (মূল সংস্থা) সেরাম থেকে যে ডোজগুলোর পাওয়ার কথা ছিল, সেগুলো না পাওয়ায় তাদেরকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি’ যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, এই দেশগুলো করোনার ভারতীয় ধরন বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টসহ কভিডের নতুন এবং আরও সংক্রামক স্ট্রেইনগুলোর কারণে বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে স্বাক্ষরিত আইনগত চুক্তি অনুসারে, সেরাম ইনস্টিটিউট স্বল্প-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে একশো কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক টিকা জোট গ্যাভির মাধ্যমে এ টিকা সরবরাহ করা হচ্ছিল, যেখানে ডব্লিউএইচও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
ড. স্বামীনাথন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ তাদের জনসংখ্যার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষকে টিকা দিয়েছে। এমনকি তাদের সব স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকেও টিকা দিতে পারেনি।’
অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে পর্যাপ্ত টিকা না পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ডোজ টিকাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না অনেকের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন