শুক্র গ্রহে মিশনের ঘোষণা নাসার

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ শুক্রে দুটি মিশনের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ডাভিঞ্চি ও ভেরিটাস নামে মিশন দুটি আগামী ২০২৮ ও ২০৩০ সালে পরিচালনা করা হবে। খবর বিবিসির।

এ দুটি মিশনের প্রত্যেকটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ডলার। নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, মিশন দুটি ‘৩০ বছরের বেশি সময়ের পর গ্রহটিতে আমাদের অনুসন্ধানের সুযোগ দেবে’।

 

সর্বশেষ শুক্রে পাঠানো নাসার মিশন ছিলো ১৯৯০ সালে। তখন ম্যাগেলান নামে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিলো নাসা।

নেলসন বলেন, এই দুটি সিস্টার মিশনের লক্ষ্য হলো শুক্র কীভাবে একটি নরকের মতো গ্রহে পরিণত হলো তা বোঝার চেষ্টা করা, যার পৃষ্ঠে এমনকি সীসাও গলে যায়।’

সূর্যের দ্বিতীয় নিকটতম গ্রহ শুক্র সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ। এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সীসা গলিয়ে ফেলতে সক্ষম।

ডাভিঞ্চি+ নামে প্রথম মিশনে গ্রহটির পরিবেশ সম্পর্কে বিশদ অনুসন্ধানের মাধ্যমে কীভাবে এটি গঠিত ও বিবর্তিত হয়েছে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে। শুক্রে কখনো সমুদ্র ছিল কিনা তাও অনুসন্ধান করা হবে এই মিশনে।

এই মিশন শুক্রের ‘টেসেরে’ নামক ভৌগলিক বস্তুর প্রথম উচ্চ রেজুলেশনের ছবি পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শুক্রের এই ভৌগলিক বস্তুগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর মহাদেশের তুলনা করা যায়। তাই পৃথিবীর মতো শুক্রেরও টেকটোনিক প্লেট রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

ভেরিটাস নামে দ্বিতীয় মিশনের মাধ্যমে শুক্রের পৃষ্ঠের মানচিত্র প্রস্তুত করা হবে। এর ফলে গ্রহটি ভৌগলিক ইতিহাস জানা সম্ভব হবে। এছাড়া কীভাবে এটি পৃথিবীর চেয়ে অনেক ভিন্নরকমভাবে বদলেছে সেই উত্তরও খুঁজবে ভেরিটাস।

ভেরিটাস মিশনে রাডারের মাধ্যমে শুক্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা যাচাই করা হবে এবং এখনও সেখানে আগ্নেয়গিরি রয়েছে কিনা ও ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটে কিনা তা অনুসন্ধান করা হবে।

তবে ইউরোপ ও জাপানের মহাকাশযান এর আগে শুক্রের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করেছে। এসব মিশন পিয়ার পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক মূল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনার সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে এদের নির্বাচন করা হয়েছিলো।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন