সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই অরূপ এর অমানবিক আচরণের সুষ্ঠু বিচার দাবী করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
১লা জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামের মৃত ওয়াহাব উল্লাহর পুত্র মোঃ মনির মিয়া এসআই অরূপ এর শাস্তি দাবী করে সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন বরাবরে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামের মনির মিয়া গত ২০ রমজানে গ্রামের মসজিদে ইত্তেকাফে থাকা অবস্থায় তার চাচতো ভাই আব্দুর রহমান ও আব্দুস সুবহানের মধ্যে ঝগড়া হয়। উক্ত ঝগড়াকে কেন্দ্র করে পুনরায় ১৩ মে আব্দুর রহমানের ছেলে ছাদিকুর রহমান ও হুশিয়ার আলীগং সহ আমার বড়ছেলের সাথে তুচ্ছ ব্যাপারে কথা কাটাকাটি হয়। এমতাবস্থায় মনির মিয়া ইত্তেকাফ শেষে ঈদের দিন বের হয়ে এসে বিষয়টি গ্রামের আরো কয়েকজন লোককে সাথে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। উক্ত ঝগড়ার প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২১ মে অভিযুক্ত ১নং আসামী জাহেদ মিয়াকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
খবর পেয়ে জাহেদ মিয়াকে দেখতে মনির মিয়া তার ছেলে সহ গ্রামের আরো ২জনকে সাথে নিয়ে ওই দিন রাতে বিশ্বনাথ থানায় যান। সেখানে যাওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অরূপ মনির মিয়া সহ তার ছেলেকে ৪ ঘন্টা থানা বসিয়ে রাখেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে মনছুরকে অভিযুক্ত বলে পিতা মনির মিয়াকে থানা থেকে বের করে দিয়ে মনছুরকে আটক করে এবং মনির মিয়াকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেন। শুধু তাই নয় এসআই অরূপ মনির মিয়াকে বলেন, যদি এ ব্যাপারে বেশি বলাবলি করেন তবে ৪০ জন পুলিশ দিয়ে তাকে ধরে এনে শরীরের হাড় গুড়া করে দিবেন।
মামলার বাদী ও এসআই অরূপের ষড়যন্ত্রের কারণে মনির মিয়ার ছেলে আজ পর্যন্ত বিনা দোষে সিলেট কারাগারে আটক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই অরূপকে উক্ত মামলার তদন্তভার থেকে অব্যাহতি সহ তার অমানবিক আচরণের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগি মনির মিয়া। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন