লুট করা ছাড়া সরকারের আর কোনো কর্মকাণ্ড দেখতে পান না ফখরুল

gbn

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিলো লুট করা। লুট করা ছাড়া তাদের আর কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখতে পাই না।

শনিবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিএনপি আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে 'বৈশ্বিক দুর্যোগ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

ঘোষিত বাজেটের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বও নেই। দুদিন আগে একটা বাজেট দিয়েছে। সে বাজেটে দেখেন তো পরিবেশ প্রকৃতির ওপর কত টাকা বরাদ্দ করা আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্লাইমেট চেঞ্জের ওপর বিশ্ব ব্যাংকের একটা ফান্ড আছে। সে ফান্ড থেকে গত কয়েক বছর ধরে তারা ৭শ কোটি টাকা ফান্ডও পেয়েছে। তার অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে, আর অর্ধেক ফেরত দিয়েছে। সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল লুট করা। লুট করা ছাড়া তাদের আর কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখতে পাই না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছে। এই মেগা প্রজেক্টগুলো কেন? বারবার করে বলছি করোনা থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য নগদ টাকা সরবরাহ করতে। সেদিকে সরকারের কোনো লক্ষ্য নেই। তারা এই পারপাসে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মেগা প্রজেক্টের জন্য এবারও দিয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যেটা এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানুষকে বাঁচানোর।

তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে। পৃথিবী অতি দ্রুত তার ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। কারণ উন্নত দেশগুলো তাদের স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট করেছে। কার্বনের কারণেও ওজন মন্ডল ফুটো হয়ে গেছে। যার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা সৃষ্টি হয়েছে। এই উষ্ণতার ফলে পৃথিবীর সব ইকোসিস্টেম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে বিশ্ব নেতাদের একটা কমিটমেন্ট প্রয়োজন। সে কমিটমেন্ট নিয়ে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া পরিবেশের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা ইকো ব্যালেন্স রক্ষা করার জন্য। এই যে উপকূলের সবুজ বেষ্টনি, সে সময় লাখ লাখ গাছ লাগানো হয়েছিল। রাস্তার ধারে গাছ লাগালে সামাজিক বনায়ন হবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান সাহেব যে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন তা তিনটা দিক ছিল। একটি হচ্ছে প্রকৃতিক পানি সংরক্ষণ করা ও সেখান থেকে ইরিগেশন করা, মাছের চাষ করা এবং খালের দুই ধারে বাগান তৈরি করা।

তিনি বলেন, মানুষের অস্তিত্বের কারণে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির দ্বন্দ্ব। মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে জীবিকার প্রয়োজনে সভ্যতার প্রয়োজনে বন নষ্ট করেছে, নদী নষ্ট করেছে, পানি নষ্ট করেছে, বড় বড় কংক্রিটের বস্তি গড়ে তুলেছে, আমাদের দেশের রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে হঠাতে হঠাতে এক বারে পিছু হঠিয়ে ফেলেছে। আগে যে পাখি গুলো আসতো, সেগুলো এখন আর আসতে পারে না। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিতে শুরু করছে। আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত এই প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করছি। আমরা চাঁদে যাচ্ছি, মঙ্গল গ্রহে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সাসটেইনেবল এনভায়ারনমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি এটা যদি আমাদের তৈরি করতে হয়- কিভাবে নদী, পানি, মাটি এবং তার বর্জ্য কিভাবে ম্যানেজমেন্ট করব এটার ওপর নির্ভর করবে আমি কতটা সাসটেইনেবল এনভায়ারনমেন্ট এবং ইকোনমি করতে পারব।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে নেতৃত্ব দেবেন- এমন আশা প্রকাশ করে দলটির মহাসচিব বলেন, একটি দানব সরকার আমাদের সবকিছুকে তছনছ করে দিচ্ছে। আমাদের স্বপ্নকে তছনছ করে দিচ্ছে। সেইখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য আমাদের পরিকল্পিতভাবে হাত-পা ছুড়তে হবে। হতাশা শব্দটাই মাথার মধ্যে আনবেন না। হতাশাকে বাদ দিয়ে আশার আলো দেখে সামনের দিকে আগাতে হবে। আজকে আমি বিশ্বাস করি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশ্যই এই সংগ্রামে জয়ী হব। খালেদা জিয়া আমাদের সেই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি তিনি অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে সেই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে সমর্থ হবেন।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন