জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ব্যক্তির অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগে আনার সুযোগ দেয়া হলে তাতে আপত্তি করবে না ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার (৫ জুন) বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ সুনির্দিষ্ট মেয়াদে ন্যূনতম যে কোনো একটি খাতে দেয়া যেতে পারে, যেখানে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ থাকবে।’
২০২১-২২ সালের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান জানাননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট-উত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কালো টাকা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আছে। তাই কালো টাকার বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হবে কিনা সে বিষয়ে সব পক্ষের মতামত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক মাসের মধ্যেই সেটি জানা যাবে।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই কী চায়- এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন সরাসরি কালো টাকার প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। এর বদলে তিনি অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ নিয়ে এফবিসিসিআই কোনো প্রস্তাব দেয়নি। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এফবিসিসিআই কোনো আপত্তি করবে না, আবার রাখার প্রস্তাবও করবে না। কারণ এতে নিয়মিত কর প্রদানকারীদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়। নিয়মিত করদাতারা এই পদক্ষেপে নিরুৎসাহিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘তবে অপ্রদর্শিত অর্থ কিন্তু এই অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর মধ্যেই রয়েছে। এখন এই অর্থ বিনিয়োগে আনার মতো সিদ্ধান্ত সরকার যদি নেয়, তা হতে পারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়- এমন ন্যূনতম কোনো একটি খাতে। তবে সেটি অবশ্যই হতে হবে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে। কোনোভাবেই সারা জীবনের জন্য বহাল রাখা উচিত হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, আমিন হেলালী, হাবিব উল্লাহ ডন, সালাউদ্দিন আলমগীর, এম এ রাজ্জাক খান উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, এমসিসিআই ঢাকা সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদসহ আরও অনেকেই ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা বা বৈধ করার বিষয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের অর্থবিলেও এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বাজেটে শুধু চলতি অর্থবছরের জন্য কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন ছাড়াই নির্দিষ্ট কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন