এস এম ফজলুঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার জঙ্গল থেকে এক অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ, ডিবি'র একদল সদস্য ও র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও র্যাবের এ যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছেন অপহরণকৃত ব্যবসায়ী শশাংক কুমার দত্ত (৫৮)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইসমাইল আহমেদ হারুন (১৯), জুলমান আহমেদ (৩২) এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতা সবুজ। তবে অভিযানের সময় এ চক্রের আরও ৫-৬ জন সদস্য পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার (৭ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এ ঘটনাটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অপহরন চক্রের মূলহোতা সবুজকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এছাড়াও অপহরণকারী চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, একইসাথে পুরো ঘটনাটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অপহরণকারী এই চক্রটি পেশাদার এবং আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে যুক্ত কি না,এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এরা বড় একটি চক্র। শ্বাসরুদ্ধ এই অভিযানের বর্ণনা দিতে পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় বাহাদুরপুর চা-বাগানের পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অভিযান চালানো হয়। অপহরণকারীদের দল বড়লেখার বারইগ্রাম গ্রামের সতেন্দ্র কুমার দত্তের ছেলে শশাংক কুমার দত্ত(৫৮)-কে অপহরণ করে আটকে রাখে। এর আগে গত ৪ মে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বড়লেখার উত্তর চৌমহুনাস্থ পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে সিএনজিতে করে রওয়ানা দেন ভুক্তভোগী শশাংক কুমার। বারইগ্রামে সিএনজি পরিবর্তন করে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে আরেকটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজিতে বারইগ্রাম হতে সিলেট যাওয়ার পথে সিলেট বিয়ানীবাজার থানাধীন মোল্লাপুর রাস্তার সামবে একটি মাইক্রোবাস ভিকটিম শশাংকর সিএনজি গতিরোধ করে এবং তাকে তাদের মাইক্রোবাসটিতে তুলে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারীরা শশাংক কুমারকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রেখে ভিআইপি নাম্বার থেকে ভুক্তভোগীর ছোটভাইকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করে। এ ঘটনায় শশাংকের ছোটভাই থানায় এসে আইনত সহায়তা চান। এর পরপরই থানা পুলিশের বিশেষ টিম, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষগণ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রহস্য উদ্ঘাটনে একটানা অভিযান অব্যাহত রাখে। যার ফলশ্রুতিতে ভিকটিমকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন