করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পাশে দাঁড়াতে কমনওয়েলথভুক্ত  দেশগুলোর প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

gbn

জিবি নিউজ ডেস্ক ।।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বব্যাপী নারীরা চাকুরি হারিয়েছে, আয় কমে গেছে এবং একই সাথে বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এই করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট লন্ডনের আয়োজনে “ভার্চুয়াল মিটিং অভ্‌ কমনওয়েলথ মিনিস্টারস ফর উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স এন্ড জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট অভ্‌ কোভিড-১৯” শীর্ষক কমনওয়েলথভুক্ত দেশের উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রীদের সাথে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন কমনওয়েলথ উইমেন’স অ্যাফেয়ার্স  চেয়ারম্যান ও কেনিয়ার পাবলিক সার্ভিস, ইয়ুথ ও জেন্ডার বিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর মার্গারেট কবিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটেলি ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নারী-সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, নগদ অর্থ বিতরণ, গৃহ নির্মাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে যার বেশিরভাগের উপকারভোগী নারী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৮০ ভাগ নারী যারা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার কারণে যেসব প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে তাদের পরিবারের নারী ও শিশু খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও আম্পান ও বন্যার কারণে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করোনা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে নারীদের আর্থিক, টেকনিক্যাল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়া সরকার ২০ লাখ নারীকে ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ও কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করছে। 

ভার্চুয়াল সভায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারীদের নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে  সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন