ইসির হারানো ল্যাপটপে ‘রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ভুয়া ভোটার’

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালকসহ ইসির ৪ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অপরাধ সংগঠিত করার সময় আসামিরা সবাই নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। বুধবার দুদক জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন জানান, দুদক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা (বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক) খোরশেদ আলম, জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মিরসরাই উপজেলায় ব্যবহার করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুককে একটি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালামাল হস্তান্তর করেন। তিনি এসব মালামাল গ্রহণ করে মিরসরাইয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীতে এসব মালামাল ফেরত আসার কথা অফিসিয়ালি স্বীকারও করা হয়। তবে ল্যাপটপটি হালনাগাদে বিভিন্ন উপজেলায় ব্যবহৃত হয়েছে বলা হলেও ল্যাপটপটির সর্বশেষ অবস্থান সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসকে রাসেল বড়ুয়া ও মাহফুজুল ইসলাম হদিস দিতে পারেননি। মূলত এই ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অর্ন্তভুক্ত করেন।

পরবর্তীতে ল্যাপটপের সন্ধানে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ তদন্ত হলেও তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ কাজে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে ব্যবহৃত বিশেষায়িত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত ল্যাপটপটি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে না এনে তিনি দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ল্যাপটপটি গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি না করে তার উপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে একে অপরের সহযোগিতায় ল্যাপটপটি আত্মসাত করেছেন। পরবর্তীতে আত্মসাত করা ল্যাপটপসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাসহ মোট ৫৫ হাজার ৩৯০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন