লকডাউন প্রত্যাহার হলে ইংল্যান্ডেই প্রতিদিন মারা যেতেন ৫০০ লোক: বরিস জনসন

জিবি নিউজ ডেস্ক ।।

ইংল্যান্ডে ২১ জুন লকডাউন প্রত্যাহার হলে প্রতিদিন ৫০০ লোক মারা যেতেন এবং ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনে ভারতীয় করোনার ধরন ডেল্টার কারনে গত কয়েক সপ্তাহ যাবত বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পরামর্শে ৪ সপ্তাহের জন্য লকডাউন পেছাতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। যদি তিনি জানিয়েছেন প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর রিভিউ করা হবে লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে

লকডাউন ১৯ জুলাইয়ের আগে শিথিল না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে সরকার। যেমন বিয়েতে অতিথির সংখ্যা সীমিত রাখার যে বাধ্যবাধকতা ছিলো, সেটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে থাকছে সামাজিক দূরত্বে বিধিনিষেধ।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহ পর আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে আমি নিশ্চিত যে, লকডাউন কোনভাবেই আর বাড়বে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। দুই সপ্তাহ পর যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে সকল বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হবে।

২১ জুনের পর আরো চার সপ্তাহ লকডাউন রাখা হবে যুক্তরাজ্যে। আর এই লকডাউন মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৩১৫ টি এলাকায় ৯০ শতাংশ হারে বেড়েছে ভারতীয় ধরন। যার মধ্যে ৫ এলাকায় ভারতীয় ধরনের করোনা ভাইরাস সব থেকে বেশি বেড়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের ৩১৫ টি এলাকায় তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ভারতীয় ধরন বৃদ্ধি পেয়েছে ৯০ শতাংশ। শুধুমাত্র ২৪টি এলাকায় করোনা ভাইরাসের রোগী কমেছে ৮ শতাংশ। আর ছয়টি এলাকায় পর পর দুই সপ্তাহ আক্রান্ত একই জায়গায় রয়েছে।

তবে উদ্বিগ্নের বিষয় হচ্ছে যুক্তরাজ্যের পাঁচটি এলাকায় দ্রুত হারে বাড়ছে ভারতীয় ধরন ও কারোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা। আর এই পাঁচটি এলাকা হচ্ছে, রিবল ভ্যালি, পান্ডেল, হিন্ডবার্ন, বার্নলি ও সাউথ রিবল। এই পাঁচ এলাকা ছাড়াও ল্যাঙ্কাশায়ারের অন্যান্য এলাকাগুলোতেও করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে।

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৫০ উর্ধ্ব বেশিরভাগ মানুষদের করোনা ভাইরাসের দুই ডোজ টিকাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র প্রথম ডোজ কম কাজ করে। তাই দেশটির প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের টিকার দুই ডোজ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন খুলে দেওয়া হলে যুক্তরাজ্যের মানুষ আবার বিপদে পরবে।

নতুন করে আক্রান্ত বাড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বারবারই বলছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। মানুষদের করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে যা করা প্রয়োজন তারা নিয়ম মেনেই তা করবেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন