শেখ মহিতুর রহমান বাবলু : কয়েকদিন ধরে মডেল মসজিদ নিয়ে লিখবো ভাবছি। কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে দেরি হলো।মসজিদকে আমরা উপাসনালয় ও পবিত্র স্থান বলেই জানি। কিন্তু মসজিদ শুধু পবিত্র উপাসনালয় নয়, ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার স্থান।মহানবী (দ:) মসজিদে বসে বিচার আচার ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতেন।
সেই লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে ।এটা একটা সুসংবাদ।উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার প্রসারে বাংলাদেশের এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সন্দেহ নেই। অভিনন্দন সরকারকে।তবে মডেল মসজিদের পাশাপাশি মডেল মন্দির,গির্জা ,প্যাগোডা ইত্যাদি তৈরির উদ্যোগ নিলে সুশাসনের ভারসাম্য রক্ষা পেত।
মডেল মসজিদের মতো এমন একটি গ্রহণযোগ্য উদ্যোগের জন্য সরকার নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে উত্তম পুরস্কারে ভূষিত হবেন।পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে " ইন্নামাল আমালু বিন নিয়ত " অর্থাৎ "অবশ্যই কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল"।
কেউ বলছে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে কেউ বলছে সৌদি অনুদানে। প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার মডেল মসজিদ যদি এই মুহূর্তে নিজস্ব অর্থায়নে করার উদ্যোগ নেয়া হয় সেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটুকু যৌক্তিক সিদ্ধান্ত তা ভেবে দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ধরুন একটি দেশ একটি পরিবার। সরকার হচ্ছে পরিবারের কর্তা বেক্তি।পরিবারের প্রধানের দায়িত্ব ও লক্ষ্য থাকে পরিবারের সব সদস্যদের প্রথমে ন্যূনতম মৌলিক চাহিদার গ্যারান্টি নিশ্চিত করা।সুতরাং টানাপোড়েনের পরিবারের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা উপেক্ষা করে শ্রীবর্ধনের জন্য টাটকা ফুল কেনা কি কোনো গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত হতে পারে ?
ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়। দেশে দৃষ্টি কাড়া মসজিদের অভাব নেই।অর্থের অভাবে কোনো মসজিদ বন্ধ হয়েছে এরকম নজির বাংলাদেশে সোনা যায় না । যথেষ্ট মসজিদের অভাবে নামাজিরা নামাজ আদায় করতে পারছে না ব্যাপারটা এমন নয়।মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় উত্তম।প্রয়জনে ঘরেও নামাজ আদায় করার বিধান আছে ইসলাম ধর্মে। সুতরাং ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার উপযুক্ত স্থান বাছাই করা কিছু মসজিদকে মডেল মসজিদ হিসাবে রূপান্তরিত করার জন্য সরকারী নির্দেশনা ও অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয়া যেত।সেটা হতে পারতো আলোচনার উর্ধে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেশের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।এতে সব ক্ষতি পূরণ করা গেলেও শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হলো সেটা পূরণ করা আদৌ সম্ভব নয়।এ কথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দলকানা ড. জাফর ইকবালও স্বীকার করেছেন। তাছাড়া করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা অপূরণীয়।
কোভিড -১৯ এর বিষাক্ত ছোবলে ক্ষত বিক্ষত গোটা দুনিয়া। এই মহামারীতে দুনিয়ার অনেক দেশ অসম্ভব ক্ষতিগ্রস্থ।তাদের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো অনেক নিরাপদ। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে বাংলাদেশের মতো এতো হটকারী সিদ্ধান্ত দুনিয়ার কোনো দেশে নিতে দেখা যায়নি।এ যেন দেখে শুনে নিজের পায়ে কুড়াল মারা।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে। সরকার কিছু দিন পর পর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার কথা বললেও সে সিদ্ধান্ত আলোর মুখ দেখেনি।বরং দফায় দফায় বন্ধ থাকার মেয়াদ বেড়েছে।ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর সাথে শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সবাই দারুন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।যে সমস্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ হয়নি তারাও অর্থের অভাবে দারুণভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে নগর ও শহর অঞ্চলের শিশুরা।দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।বন্দি এ সময়ে শিশুরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে একটি জেনারেশন।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক স্কুলের সব শিক্ষকরা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন পাবেন। এজন্য সব শিক্ষককে ‘আইবাস++’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য এন্ট্রি করতে বলা হয়। কিন্তু কর্মরত শিক্ষকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে চাকরির অন্যান্য কাগজ, বয়স ও নামের মিল না থাকা, প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসব শিক্ষক কবে থেকে বেতন পাবেন তা কেউ জানে না।
এসব দেখে শুনে মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুপরিকল্পিতভাবে ভেঙে চুরমার করে ফেলার খেলায় মেতেছে। দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার। তাদের চাকরি নেই। অথচ সরকারি হিসাবে প্রায় ১৫ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক বৈধ ও অবৈধ উপায়ে দেশে কর্মরত আছেন । শোনা যায় দেশে যথেষ্ট শিক্ষিত যোগ্য লোক না থাকায় বিভিন্ন দেশের বিদেশী নাগরিক নিয়োগ দিতে হয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে দেশে এখনই যদি যোগ্য লোকের অভাব দেখা দেয় তবে ভবিষ্যতে এই সংকট মোকাবেলা কিভাবে হবে ? সরকারের পরিকল্পনা কি ?
দুঃখজনক হলেও সত্য। এশিয়া মহাদেশের ৪১৭টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।এতে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, এমনকি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিলেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কেন নেই ? কারণ দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ভীষণ ভাবে অবহেলিত।
সুতরাং মডেল মসজিদ নয় বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান, গবেষণা, জ্ঞান আদান-প্রদান এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি জোরালো করার জন্য এই খাতে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা বেশি জরুরী। মনে রাখতে হবে সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের যে কোনো ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।যদি মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা এক্ষুনি নিশ্চিত করা যায়।সুতরাং শিক্ষার মান, শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে না পারলে দেশ পরিচালনার জন্য নিকট ভবিষ্যতে বিদেশী নিয়োগের কোনো বিকল্প থাকবে না।
দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুর্নীতির মহাসড়কে দাঁড়িয়ে।এ সম্পর্কে এতো স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না।বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতোই করুন যে মন্ত্রী,এমপি ,আমলা ও লুটেরাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইউরোপ আমেরিকায় ছুটতে দেখা যায়। সচ্ছল জনগণ যান ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।আর অসহায় হতদরিদ্র মানুষ ধুকে ধুকে মরছেন নিজ জন্মভূমিতে।
ভারতের অসংখ্য হাসপাতাল গড়ে উঠেছে শুধুমাত্র বাংলাদেশী রোগীদের ঘিরে।তাদের চিকিৎসা যাই হোক সেবার মান দেখলে মনে হয় কোথায় আছে বাংলাদেশ।গণমাধমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সংবাদ বহুবার দেখেছে জনগণ।দেখেনি প্রতিকার।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের অহংকার।করোনাকালের একজন সাহসী যোদ্ধা।তিনি বাংলাদেশের ওষুধ নীতিতে মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা করেন । যুগোপযোগী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ণেও তিনি ছিলেন উদ্যোগী রূপকার। তাঁর প্রতি রয়েছে দেশবাসীর গভীর শ্রদ্ধা ভালোবাসা।ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য স্বল্পমূল্যে টেস্ট করার জন্য করোনা কিট উদ্ভাবন করেছিলেন ।এটা ছিল বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।অনেকে বলছেন, মন্ত্রনালয় ক্রয় বাণিজ্যের কথা ভেবে গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে জাতির সাথে মশকরা করেছে।
ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড দেশে নতুন করোনা ভাইরাস রোগের টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে। কিন্তু তারাও নিরুৎসাহিত হয় একই কারণে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়ি চালক আব্দুল মালেক শত কোটি টাকার মালিক।সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি ।মালেক বিচারের আওতায় এসেছেন। কিন্তু তিনি যাদের অপকর্মের মধ্যস্থতা করে কমিশন হিসাবে এই বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হলেন তারা রইলেন ধরা ছোয়ার বাইরে।হায় রে বাংলাদেশ।
রোজিনা ইসলাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত একজন অনুসন্ধানী সাহসী সাংবাদিক।কাজ করেন প্রথম আলো পত্রিকায় ।কয়েকদিন আগে তথ্য চুরির অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেতরে তিনি কি পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা সবারই জানা।পরিবর্তিতে বিনা কারণে তাকে হাজত খাটতে হলো। যথা সময়ে জামিন দেয়া হয়নি । অপ্রিয় হলেও সত্য যে যারা নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিক নির্যাতন করলো তাদের কিছুই হলো না।রোজিনার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগ শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি । কিন্তু এখনো মিথ্যা মামলার বোঝা নিয়ে দিনাতিপাত করছেন এই দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ।আর বহুল সমালোচিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম সহ নির্যাতনকারীরা আছেন বহাল তবিয়তে।
ঢাকা সহ দেশের প্রতিটি বড় শহরে একটি করে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হাসপাতাল নির্মাণ করা এই মুহূর্তে মসজিদ তৈরীর চাইতে বেশি জরুরি।জেলা ও উপজেলা শহরের প্রতিটি হাসপাতালের মান উন্নত ও সেবা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।এতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঠানো মূল্যবান বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। দেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে সম্মৃদ্ধশালী।
মাত্র দুই এক ঘন্টা ঝুম বৃষ্টির ফলে রাজধানীবাসীর জীবনে নেমে আসে স্বস্তিরতা।চিরচেনা ঢাকা শহর পরিণত হয় ইতালির ভেনিস শহরে । শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে চলে নৌকা। শিশুরা পানিতে মাছ ধরে।কর্মস্থলগামী মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে।
সম্প্রতি উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয় সংসদে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে কথা বলেছেন এক সংসদ। প্লাকার্ডে লেখা ছিল ‘আর কোনও দাবি নাই, ত্রাণ চাই না- বাঁধ চাই’
অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা আর দারিদ্র্যের কারণে দেশে ক্রমেই বাড়ছে শিশুশ্রমিক।জীবনের শুরুতেই কোমলমতি শিশুরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি । মূলত করোনার কারণে অভিভাবকের কাজ এবং আয়ের ওপর প্রভাব পড়ায় নতুন করে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
করোনার আঘাতে নতুন করে দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। দেশে এই নতুন দরিদ্র শ্রেণীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ।এছাড়া, ঋণগ্রহীতা পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
গোটা দুনিয়া আজ আতঙ্কের বেলাভূমি। মহামারীতে তছনছ বিশ্ব। করোনা উজাড় করছে নগর, জনপদ ও বিশ্ব মানবতা । বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি ৷ মানব জাতির ঘোরতর এ সঙ্কটকাল মোকাবেলা করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলো আজ হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সুতরাং আবেগের পাখায় ভর না করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের এমন চরম ও পরম সংকটময় মুহূর্তে মডেল মসজিদ নয় বরং মানবতাই হোক বিলাসিতা।আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন