জিবিনিউজ24ডেস্ক//
মৌলভীবাজারে গত কয়েদিন থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক মাধ্যম কিংবা সামাজিক সংগঠনের একটাই দাবি সেই প্রকাশ্যে মাদক সেবনের স্বীকারোক্তিকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। এজন্য বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) শহরে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, মৌলভীবাজার শহর শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। এখানে মাদকের আসর বসিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষনের মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে তা নিজেদের ফেসবুকে প্রচার করার যে দু:সাহস তারা দেখিয়েছে তাদেরকে অভিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় জেলার সর্বস্থরের মানুষকে নিয়ে দূর্বার কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, তারা যে দু:সাহস দেখিয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় এ ধরনের কর্মকান্ড চলে আসছে সেখানে প্রশাসন নিরব ভুমিকায়। মাদক ও ধষর্নের ব্যাপারে সরকার যেখানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় এরকম একটি ঘটনায় বিস্মিত জেলার সকল স্তরের মানুষ। হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহঃ)পূন্যভূমিতে এই বেহায়াপনা, অশ্লিল,অনৈতিক কার্যক্রম কোনভাবেই সহ্য করা যায়না। এই ঘটনায় প্রতিবাদী কণ্ঠ সমাজকর্মী কেবি খান বিজয়ের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ্ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ সাহাব উদ্দিন আহমদ, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা যৌন হয়রানী নির্মূল কমিটির সভাপতি রাশেদা বেগম, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলীম উদ্দিন আলীম, শেখ বুরহান উদ্দিন (রহ:) ইসলামী সোসাইটির চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব, বাধন থিয়েটারের সভাপতি রুহেল আহমদ, সমাজসেবক কে,এম,আকলু, তরুনসমাজকর্মী মিজানুর রহমান রাসেল, আদর মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক নিখিল তালুকদার, মেধা সংস্কৃতি বিকাশ পরিষদ রাজনগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খছরুমিয়া চৌধূরী, দৈনিক কালেরকন্ঠ শুভ সংঘের সাধারই সম্পাদক তাকবীর হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করেন।
জানা যায়, গত ৩ আগস্ট শহরের সুনাপুর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান তার বাসায় মদ ও গাঁজা পার্টির আসর বসান। ওই সময়ে বন্ধুদের নিয়ে মাদক পার্টি ও ধর্ষনের আড্ডা ও রাতভর নানা আমুদ ফুর্তি হয়। মাহমুদ এইচ খান, সজিব, রায়হান, মার্জিয়া প্রভা ও মারিয়া রাত্রী যাপন করেন।
গত ২৫ আগস্ট সজিব তার বান্ধবীর সাথে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ফইসবুকে স্ট্যাটাস দেন মাহমুদ এইচ খান। পর দিন ২৬ আগস্ট সজিব ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মেয়েটির ইচ্ছাতেই সব হয়েছে বলে পাল্টা পোস্ট দেয়। ওই রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনার সকলকিছু নিজেরাই নিজেদের ফেসবুকে তোলে ধরে। প্রতিনিয়তই হত এমন পার্টি। কিন্তু তা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই তা চেপে রাখত। ওই দিন আমুদ ফূর্তির ভাগবাটোরায় দ্বন্ধ নিয়ে বেসামাল হয়ে নিজেরাই বলে দেয় অভ্যন্তরীণ বেহুঁশ বেফাস কথা। গত কয়েকদিন থেকে এমন মাদক সেবন ও নারীকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কিছু ছবিসহ স্টেটাস দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ব্যাপক তোলপাড় চলছে মৌলভীবাজারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন