লকডাউন: খাবার নিশ্চিত না করে মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য কাজ

নজরুল ইসলাম ll
শৃঙ্খলাবোধ হচ্ছে শিক্ষা, যা অর্জন করতে হয়, গেঁথে নিতে হয় চিন্তা-চেতনা ও মননে। ইহা যথাযথ শিক্ষার ব্যাপারে ও বটে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের লোকদের সেইভাবে আমরা শিক্ষিত করতে পারি নাই আজ অবধি। 

 তাই ভাবছি, বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় আমাদের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলায় নিয়ে এসে করোনা মোকাবেলা কঠিন কাজ। যে কারণে বলছি, আমাদের লোকজন এখনোও দেশের প্রচলিত আইন কানুন নীতিমালা নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন দেশপ্রেমও দায়িত্ব কর্তব্যবোধ এমনসব বিষয় গুলোতে তাদের উদাসীনতা নীতি নৈতিকতা প্রায়ই বাণী বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ। 

তাই মনে হচ্ছে- লকডাউন দিয়ে বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলা আর সম্ভব না। এতে করে বিশৃঙ্খলা দিনের-পর-দিন ঘনীভূত হবে পঞ্জিজীবিত হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশের পেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালাকে মাথায় রেখে একটি ভারসাম্য প্রক্রিয়া পদ্ধতি অবলম্বনে। 

আফসোস, দেশের জন্য ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার মত মানুষ আমরা তৈরি করতে পারি নাই। হাতে গোনা কিছু মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের প্রদত্ত নীতিমালা মেনে চলছে। আমাদের দেশপ্রেম কথার ফুলঝুরিতে সীমাবদ্ধ। ব্যক্তিস্বার্থে আমরা অন্ধ হয়ে পড়ি।

এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে।  কর্ম পরিসরে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে ,কর্ম পরিসরে সকলের রুটিন (temperature) তাপমাত্রা চেক নিশ্চিত করতে হবে। যাদের তাপমাত্রা আছে তাদেরকে বাসায় পাঠানো, যারা সুস্থ আছে তারা কাজ করবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে টিকাদান কর্মসূচিতে। স্বল্পসময়ে সকলকে কিভাবে এই টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়ে আসা যায় চিন্তার বিকল্প দেখছিনা।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস নীতিনির্ধারকদের মাথায় রাখতে হবে কঠোরভাবে লকডাউন এর সময় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পার করে এসেছে। এমন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশে লকডাউন কোন ভাবেই কাজ করবেনা। খাবার নিশ্চিত না করে মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ।

লেখক: জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) লন্ডন। মেম্বার, দ্য ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন