জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
করোনা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে কেবল জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই অবস্থায় সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিতের আপাতত কোনো চিন্তা নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হয়েছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাকতা থাকায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনিতর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানও ঝূঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে কমিশনের বর্তমান অবস্থান হচ্ছে- পর্যবেক্ষণ করা। অর্থাৎ অন্তত সাতদিন করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে ভোট স্থগিত করা হবে কি-না।
সম্পর্কিত খবর
- সিলেট বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যায়নি
- বিয়ের আসর থেকে বর-কনেকে বের করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট (ভিডিও)
- ৬৪ জেলায় গাছ লাগালেন সিলেটের ফাহিম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ মৃত্যুবরণ করায় সিলেট-৩ আসনটি ১১ মার্চ শূন্য হয়। করোনার কারণে এখানে সিইসি নব্বই দিন ভোটের সময় পিছিয়ে দেন। তাই আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিন অর্থাৎ ৮ জুনের পরে আরো নব্বই দিন সময় নেয় ইসি। এক্ষেত্রে এ উপ-নির্বাচনের সময় আছে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটের সময় আছে। তাই করোনা পরিস্থিতি অবনতির ওপর বিবেচনা করে এ নির্বাচনটি আরো কিছুদিন পেছানো যাবে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুলাই এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসির হাতে আরো এক মাসের মতো সময় আছে ভোটের আগে। তাই পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেক সময় রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও, নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে কমিশন থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এছাড়া এমন কোনো নথিও প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকদিন পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের বর্তমানে প্রচারের সময় চলছে। এতে করোনা পরিস্থিতি অবনতির ঝুঁকি থেকে যায়। এ নিয়ে কর্মকর্তা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতি নির্বাচনী প্রচারের বিষয়ে একটি নির্দেশনা প্রার্থী ও সমর্থকদের দেওয়া আছে। সেগুলো মেনেই প্রচার চালাতে হবে। এছাড়া সরকারের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলো মেনেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রচারে যেতে প্রার্থীদের উৎসাহিত করার কথাও বলছেন কর্মকর্তারা।
এ আসনে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করলে বাতিল হয় দু'জনের। চারজন বৈধতা পান। বৈধ প্রার্থিরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তারা হলেন-স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন ও সেখ জাহিদুর রহমান মাসুম।
গত ১১ মার্চ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন