জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
মৌলভীবাজারে ঢিলেঢালাভাবে সীমিত লকডাউন পালন করা হয়েছে। সড়কে সিএনজি, প্রাইভেট গাড়ি, মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে হরহামেশাই।
তবে বেশীরভাগ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।
তবে সকাল থেকে যাত্রীবাহি বাস না পেয়ে পথচারী অনেককে পায়ে হেটে বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে গন্তব্যস্থলে ছুঁটতে দেখা গেছে।
জুবায়ের আহমদ, কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও থেকে মৌলভীবাজার সরকারি হাসপাতালে এসেছেন মাকে নিয়ে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন না থাকায় বহু কষ্টে বেশী ভাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে এসেছি। এরকম লকডাউন আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য কোন কাজে আসছে না। উল্টো অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে নিজের আবেদনকৃত পাসপোর্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে মৌলভীবাজার শহরে এসেছেন ষাটোর্দ্ধ পিয়ারা বেগম। কিন্তু সময়ের আগে পৌঁছাতে না পারায় তিনি পাসপোর্টটি অফিস থেকে নিতে পারেন নি। রাগ আর দুঃখ নিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন।
জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘লকডাউন দরকার আছে। তবে আমাদের জরুরী বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনা উচিত। এই যে আমি একটা জরুরী কাজে এসে আবার ফিরে যাচ্ছি, এতে আমার আজ প্রায় হাজার টাকা নষ্ট।’
সোমবার (২৮ জুন) মৌলভীবাজারের শহরের কুসুমবাগ, বাসস্ট্যান্ড, শমসেরনগর রোড, চৌমুহনা, কোটরোড ও কুলাউড়া শহর, জুড়ি শহর, রাজনগর সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কগুলো কার্যত সিএনজি, মোটরসাইকেলের, প্রাইভেটকার, রিকশার দখলে। এসব যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে পুলিশ সদস্যদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বাধার দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যান্য দিনের মতোই লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়।
লকডাউন দিলে দেওয়ার মতো দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ভ্যান চালক রফিক মিয়া, আব্দুল, মুন্না, দেলোয়ার।
তারা বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কথা ভাবতে হবে। ব্যাংক, অফিস, আদালত চালু রেখে লকডাউনের কোনো মানে হয় না। গরীবের কথা না ভেবে শুধু বড়লোকের কথা চিন্তা করে লকডাউন করাটা কতটুকু যুক্তিসংগত, প্রশ্ন আছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার জেলার ১০২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ।
মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত একদিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০২ জন রোগী নমুনা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ রোগীর শরীরে করোনা সনাক্ত। জনসচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও লকডাউন সঠিকভাবে পালন করলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন