যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মু‌ক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির দাবি পীর মিসবাহর

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাঙালিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকার অর্ন্তভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।

শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে এ দাবি জানান তিনি।

 

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের আলোকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে ৯০ ভাগ মানুষ ছিলেন সিলেট অঞ্চলের। সেখানে জাতির জনকের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় তারা সেখানে ফান্ড তৈরি করেছেন। সেখান থেকে প্রখ্যাত আইনজীবি টমাস উইলিয়ামকে এদেশে পাঠিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময় পাকিস্তানিদের সাথে বাঙালিদের সংঘর্ষ হয়েছে, কারাবরণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সেসময় যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন তারাও সেখানে ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু এই যে তালিকাটি করা হয়েছে সেটি অসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাঙালিদের অনেকের নাম যাদের অনন্য অবদান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাদের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যে ফান্ড যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা তৈরি করেছিলেন তার পরিমাণ ৩ লাখ ৯২ হাজার পাউন্ড। এটি বাংলাদেশের প্রথম বৈদেশিক মুদ্রা। সিলেট অঞ্চলের অনেক মানুষ যারা সেসময় যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন তারা মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি সেসময়ে যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন প্রবাসে তাদের নামও আসেনি।

‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাষ্ট -২০২১ বিলের ওপর তার আনীত যাচাই- বাছাই আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আমরা চাই মধ্যরজনী পরীমুক্ত থাকুন। সংস্কৃতির সুদিন ফিরে আসুক। মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন আমাদের সংস্কৃতির সুদিন আসবে। চলচ্চিত্র আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সিনেমা হল আধুনিক হবে। যারা চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত ওই সব শিল্পীদের স্বার্থে এ বিল আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিলটি একটি মহৎ বিল নিঃসন্দেহে। আমরাও একে সমর্থন করি। তবে আমরা আশা করবো এ শিল্প আবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। তবে আমরা আশা করবো মধ্যরজনী পরীমুক্ত হবে। আমাদের অনেক ভালো শিল্পী আছেন। তাদের কল্যাণে এই বিল কাজে আসবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন