জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তা করোনাক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে পরিবর্তন করা হয়েছে এবং সিলেট-৩ উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজি এমদাদুল ইসলামকে।
শনিবার (৩ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ রদবদল করা হয়।
শনিবারের প্রজ্ঞাপনে দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ- এই ৩ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে সিলেট-৩ নির্বাচনী আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহা. ইসরাইল হোসেন এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফয়ছল কাদের।
সস্প্রতি এ দুই কর্মকর্তা ছাড়াও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা শুক্কুর মাহমুদ, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত ও বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নতুন করে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। যার সংসদীয় আসন নং ২৩১। চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটির সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, উক্ত শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে গত ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেন মোট ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন লুমা ও শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম।
এর মধ্যে ফাহমিদা ও মাসুম ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র ১৭ জুন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। দাখিলকৃত মনোনয়নে ভোটারদের তথ্য যথাযথ না পাওয়ায় ফাহমিদা ও মাসুমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে তারা আপিল করলেও আগের রায় বহাল রাখে নির্বাচন কমিশন। ফলে তারা দুজন ঝরে পড়েন নির্বাচন থেকে।
বহাল থাকা ৪ প্রার্থীর প্রার্থীর মধ্যে গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক তুলে দেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সল কাদের ও রিটার্নিং অফিসার মোহা. ইসরাইল হোসেন।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি (কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীক পেয়েছেন। এর মধ্যে শফি আহমদ চৌধুরী ছাড়া বাকি ৩ জন পেয়েছেন দলীয় প্রতীক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন