পরীমনির বোট ক্লাবের সেইরাত নিয়ে নাসির ইউ মাহমুদ যা বললেন

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনির হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা এবং তার সাথে মাদকের মামলায় রিমান্ড ও কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ। মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিন পর রোববার নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে’ কি ঘটেছিল সেদিন।

নাসির ইউ মাহমুদের ফেসুবক পোস্ট-

 

সম্প্রতি আমাকে নিয়ে প্রচারিত একটি মিথ্যা ঘটনা নিয়ে পরিমনি কর্তৃক যে অপ-প্রচার করা হয়েছে তা আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য সেদিন আসলে কি ঘটেছিল তা আমি বলতে চাই।

আমি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যকরি পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে ক্লাবের ডিসিপ্লিন, মেনটেইনেন্স, কালচারাল এফেয়ার্স ও এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত। সেদিন রাত আনুমানিক ১২টায় বোট ক্লাবেরই একজন সদস্যের সাথে ৩ জন অতিথি ক্লাবের বারে প্রবেশ করেন।

আমি সেসময় অন্য টেবিলে অন্য সদস্যদের সাথে বসে ছিলাম। আমি দূর থেকে লক্ষ করছিলাম তারা মদ্যপ অবস্থায়ই ক্লাবে প্রবেশ করেন। সে অবস্থাতে তারা আমাদের পাশের একটি টেবিলে বসেন এবং ওয়েটারদের ড্রিঙ্কসের বোতল দিতে বলেন। ওয়েটাররা এক বোতল ড্রিঙ্কস টেবিলে সার্ভ করেন এবং তা অতি দ্রুত তারা শেষ করে ফেলেন এবং আরো এক বোতল ড্রিঙ্কস টেবিলে আনান এবং সেই বোতলের অর্ধেকেরও বেশি শেষ করে ফেলেন। এসময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরীমনি (যার নাম আমি পরে জেনেছি) একটি দামি ৩ লিটারের "ব্লু লেবেল"-এর বোতল বারের সেলফ থেকে হাতে তুলে নিয়ে টেবিলে আসেন এবং সঙ্গে করে নিতে চান। এসময় ওয়েটাররা তা নিতে বাধা প্রদান করলে পরীমনি ক্ষিপ্ত হন এবং ওয়েটারদের সাথে কথা কাটাকাটি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে টেবিলে রাখা প্লেট-গ্লাস অনবরত ছুড়ে ভাঙতে থাকেন।

যেহেতু আমি ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি ইনচার্জ সেহেতু বিষয়টির ব্যাপারে ওয়েটাররা আমার সাহায্য চায়। তখন আমি পরীমনিদের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বলি এই ড্রিঙ্কসের বোতল বিক্রি যোগ্য নয়। এ সময় পরিমনি আমাকে তুই-তাকারি করে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করেন এবং আবারও টেবিলে রক্ষিত প্লেট, গ্লাস ছুড়ে মারতে থাকেন। আমি তাকে বার বার অনুরোধ করি যাতে তিনি এসব থেকে নিবৃত হন। কিন্তু পরীমনি তাতে কর্নপাত না করে আমাকে লক্ষ্য করে গ্লাস ছুড়তে থাকেন এবং একসময় একটি গ্লাস আমার ঘাড়ে এসে লাগে। পরে আরো গ্লাস ছুড়তে চেষ্টা করলে আমি তাকে শান্ত হতে বলি। সেই মুহুর্তে তার সাথে আা জিমি (পরে নাম জেনেছি) আমার উপর চড়াও হয়। এ অবস্থায় ক্লাবের বাইরে দায়িত্বরত সিকিউরিটি স্টাফদের ডাকতে বাধ্য হই। কিছুক্ষণ পরেই ক্লাবের সিকিউরিটিরা উপস্থিত হন এবং বলি তাদের ক্লাব থেকে বের করে দাও, এ কথা বলে আমি ক্লাব ত্যাগ করি।

ঘটনার ৪-৫ দিন পর পরীমনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন এবং এর কিছুক্ষণ পর তিনি একটি সংবাদ সন্মেলন করেন। সেখানে আমাকে নিয়ে তার এহেন মিথ্যাচারে আমি হতভম্ব হয়ে পরি।

প্রিয় বন্ধুরা, ইতিমধ্যেই সম্মানিত সাংবাদিক ভাই এবং ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে আপনারা ঘটনার চিত্র নিশ্চয়ই দেখেছেন এবং সত্যিকারের ঘটনাটি অনুধাবন করতে পেরেছেন।

দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও মহামান্য আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাবো।

পরিশেষে বলতে চাই, এহেন নাম সর্বস্ব অভিনেত্রীর সাজানো নাটকে আমার মতো একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সারাজীবনের অর্জিত সম্মান যেভাবে ধুলিস্যাৎ করা হয়েছে তা যেনো আর কারো জীবনে না ঘটে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন