মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজন আটক 

মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ  
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সর্বদা এ জেলার মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামীদের প্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে আসছে। 

পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জাকারিয়া যোগদানের পর থেকে তাঁর নির্দেশনায় সকল থানা ইউনিট সহ মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নতুন মাত্রায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানা, শ্রীমঙ্গল থানা ও জেলা ডিবির ডিউটি অফিসারসহ কয়েকজন অফিসারের মোবাইলে ডিবি পুলিশ, পিবিআই ও দুদক পরিচয়ে বেশ কয়েকটি ফোন আসে এবং চাদা দাবী করা হয়। এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়। 

এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এঁর নির্দেশে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এছাড়া ব্রাক্ষনবাড়িয়া, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সিলেট, যাত্রাবাড়ি, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৭০ টিরও বেশি থানায় এ ধরনের ঘটনার কথা ছায়াতদন্তে জানতে পারে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

এছাড়াও কৌশলে বিভিন্ন মামলার আসামীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের আত্মীয়-স্বজনের  মোবাইল নাম্বারে বিভিন্ন থানার অফিসার পরিচয়ে সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় সম্পর্কিত অভিযোগের বিষয়েও জানতে পারে গোয়েন্দা পুলিশ। মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা এসমস্ত ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতারকের অবস্থান নিশ্চিত হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায়, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া-এঁর নির্দেশনায় আজ ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক দল ইন্সপেকটর মোহাম্মহ বদিউজ্জামান এর নেতৃত্বে  ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানা এলাকা থেকে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত প্রতারক জাকির হোসেন (২৭) কে গ্রেফতার করে। একই সাথে উদ্ধার করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত  ১৭ টি সিম ও ৭ টি মোবাইল ফোন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী জাকির এই প্রতারণার মূলহোতা তা স্বীকার করেছে। ব্রাক্ষনবাড়িয়া, কুমিল্লা ও গাইবান্ধা জেলার তার বিরুদ্ধে মাদক ও প্রতারণার মোট ৯ টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। 

আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন