আবুল কাশেম রুমন,সিলেট||
সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে লন্ডনযাত্রী এক নারীকে রেখে বিমান লন্ডনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ২৯ (জুলাই) বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আটকা পড়া যাত্রীর নাম যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী তিনি খাদিম নগরের বাসিন্দা স্থায়ী ভাবে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, জামিলা চৌধুরী সম্প্রতি কিছু দিন পূর্বে তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের লন্ডনে রেখে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) তার ফেরার কথা ছিল। যথারীতি তিনি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তারপর বিমান ফ্লাইট তাকে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন জামিলা চৌধুরী। তিনি আরও অভিযোগ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের হয়রানীর কারণে নির্ধারিত ফ্লাইটে লন্ডনে যেতে না পারার অভিযোগ করেন ওই যাত্রী। লন্ডনে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টিনের জন্য তার হোটেল বুকিং দেয়া ছিল। কিন্তু নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে না পেরে তিনি মানসিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
এদিকে চেক-ইনের সময় বিমান কর্তৃপক্ষ জানান, তার তিনটি লাগেজের ওজন নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি। বাড়তি ওজনের জন্য তার কাছে টাকা চান বিমানের কর্মকর্তারা। অনেক অনুরোধের পরও তারা লাগেজগুলো ছাড়তে না চাইলে তিনি একপর্যায়ে শুধুমাত্র একটি লাগেজ নিয়ে যেতে সম্মত হন। কিন্তু এরপরও বিমানের কর্মকর্তারা তাকে বোডিং পাস দেননি। তিনি অনেক অনুনয়-বিনয় করার পরও কর্মকর্তাদের মন গলেনি। তারা টাকা না পেয়ে হয়রানি করেন এবং একপর্যায়ে তাকে বিমানবন্দরে রেখেই ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী ওমর হায়াত জানান ওই যাত্রীর সাথে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। প্রতি কেজি ২ হাজার ৬১১ টাকা হিসেবে এক লাখ টাকার উপরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু যাত্রী কোন ভাবেই ওভার ওয়েটের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি।
নির্ধারিত সময়ের একঘন্টা আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের দরজা বন্ধ করতে হয়। কিন্তু ওই যাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে। লাগেজ ছাড়া ওই যাত্রীর ডকুমেন্টেও কিছু সমস্যা ছিল বলে জানান বিমানের ওই কর্মকর্তা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন