নির্বাহী প্রকৌশলী এম এ কাদির এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট পেডিয়াট্রিক সার্জারি, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ডা: মৃগেন কুমার দাস চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন আমি গভীর শোকাহত। জীবনের অজ্ঞাত এক প্রান্তে এসে চিরতরে হারিয়ে গেলেন কাদের ভাই। এ পথ ধরে সসীম জীবন লীন হয়ে যায় অসীম অনন্তে। পার্থিব পরিমণ্ডলে এর পদধ্বনি অনুরণিত হয় অন্তরে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট উইম্যান্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণাধীনে চিকিৎসারত কালে আমার এক বছরের জ্যাষ্ঠ একান্ত ঘনিষ্ট স্কুলসাথী পিডিবি র অবসর প্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদির ভাই সৃষ্টির মায়া কাটিয়ে স্রষ্টার চিরশান্তিময় সান্নিধ্য লাভ করলেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উঁনার কনিষ্ট পুত্র উক্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল বাশার সিদ্দিকী শাহীন (প্রান্তিক শাহীন) ক'দিন পূর্বে কিডনীর জটিলতা নিয়ে উনাকে ভর্তি করান অবধি উৎকণ্ঠিত ছিলাম। উৎকণ্ঠার চির অবসান ঘটল ঘনিষ্ট জন হারানোর এক বুক ব্যাথা নিয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলাধীন আমাদের প্রতিবেশী গোপীনগর গ্রামের সুসন্তান কাদির ভাই আমাদের এলাকার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কালী প্রসাদ জুনিয়র হাই স্কুলে (বর্তমান হাইস্কুলে) পড়াশুনা করেন। মেধাবী ছাত্র হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে কাদির ভাই সদালাপী ও বন্ধুবৎসল ছিলেন।সিলেটে মৌলভীবাজার সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরমাত্মা জান্নাতে ফেরদৌসে প্রস্থিত হোক প্রার্থনা করি। শোকার্ত সন্তানরা, সহধর্মিনী সহ পরিবার পরিজনদেরে সমবেদনা। ঈশ্বর তাদেরে প্রবোদ দানে কৃতার্থ করুন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন