"বীর মুক্তিযোদ্ধা" এই বিশেষ অভিধাটি শুধু মাত্র রণাঙ্গনের সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিনিধি দল বিগত সোমবার ২আগষ্ট লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মোনা তাসনীমের সাথে তার অফিসে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ যুদ্ধ বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। সে সব অবদানের কারণে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় 'জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান' এবং বর্তমান সরকারের দেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা-পূর্ণ-নাম বিগত অর্ধশতাব্দী যাবৎ শুধু মাত্র সম্মুখ যুদ্ধে নিয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দেশে বিদেশে সমগ্র জাতির সম্মিলিত ত্যাগের ফলেই আমাদের এই স্বাধীনতা। এই অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয় সবাইকে যার যার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সম্মাননা দেয়া হোক। বর্তমানে প্রচলিত কন্ঠ সৈনিক, শব্দ সৈনিক, কলমযোদ্ধা এসবের ধারাবাহিকতায় তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সম্মানসূচক নাম দেয়া যেতে পারে সবাইকে ঢালাও ভাবে একই নামে নয়। স্মারকলিপি গ্রহণ কালে মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের যৌক্তিকতা অনুধাবন করে হাই কমিশনার অতিসত্বর এ স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, লোকমান হোসেন, এনামুল হক ও দেওয়ান গৌস সুলতান। তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার জাহিদ-উল-ইসলাম। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, খলিল কাজী, ওবিই, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত , হাসান মাহমুদ, এমবিই, প্রকৌশলী মেফতা ইসলাম, আবু মুসা হাসান, লোকমান হোসেন, আজিজুল কামাল, মোহাম্মদ আব্দুল হাদী, আহবাব চৌধুরী, ইকরামুল হক মিন্টু, এনামুল হক, সিরাজুল ইসলাম কচি, বদর উদ্দিন আহমদ, শাহ এনাম, আব্দুল মালিক শিকদার, জিয়াউল ইসলাম মাহতাব, মকলিসুর রহমান দেওয়ান, রাজ্জাক আহমদ, কামাল দেওয়ান, মাহবুবুর রহমান, হিমাংশু গোস্বামী, আমান উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, আফতাব উদ্দিন নাসির, আলতাফ হোসেন, আব্দুল মতিন, আব্দুর রউফ, সোহরাব হোসেন, তোতা মিয়া, ফয়জুর রহমান খান এবং দেওয়ান গৌস সুলতান ।
বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহমত জানিয়েছেন। তারা হলেন -- আহসানুল হক মিনু (ঢাকা), জহিরুদ্দিন বিচ্ছু জালাল (ঢাকা), মুহিবুল ইসলাম ইদু (ঢাকা) ও আবির আহমেদ (ঢাকা), রুহুল আমিন মজুমদার (চট্টগ্রাম), সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল (সিলেট) ও আব্দুস শুকুর (সিলেট)।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন