নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে কর্মসিজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের সুবিধাভোগী মুহিবুর রহমান সহ আরো কয়েকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন নীতি মালার বিপরীতে হত দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু হবে তাহা প্রচার করে প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ১ পাতা ও শ্রমিকের পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ফটো প্রত্যেকের কাছ থেকে চেয়ারম্যান মেম্বারদের স্বার্থ আদায়ের লক্ষে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারস্থ শাখায় প্রতি শ্রমিকের নামে হিসাব খোলা হয়। ইদানিং প্রতি বছরের ন্যায় ২০২০/২১ বছরের অর্থ তুলার পায়তারা চলছে । প্রতি বছর শ্রমিককে দিয়া মাঠে কাজ না করিয়ে ১ম পর্যায়ে ৪০ দিনের বিল এবং ২য় পর্যায়ে ৪০ দিনের বিল শ্রমিককে ব্যাংকে না নিয়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপকাকে বড় অংকের টাকা দিয়া বিল উত্তোলন করে প্রকল্প
সভাপতি/সম্পাদক। পরে তারা সহ আরো কয়েকজন ভাগবাটোয়ারা করে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করেন। ১৭৯ জন শ্রমিককে প্রকল্পের
আওতায় নিয়োগ দিয়ে চেক বই সহ জব কার্ড চেয়ারম্যান এর অধিনস্থ রেখে কাজ থেকে বঞ্চিত করে সোনালী ব্যাংক থেকে চেক পাতায়া জাল স্বাক্ষর করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন পূর্বক নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা ভাগবাটোয়ারা করেন। এল,জি,এস,পি-৩ প্রকল্প বাস্তবায়নের নিজস্ব লোককে ঠিকাদার বানিয়ে প্রকল্পের বিপরীতে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এল.জি.এস.পি-২ এর আওতায় নির্মানাধীন আলমপুর সরকারি পুকুর থেকে আলমপুর পর্যন্ত রাস্তার ইট উঠাইয়া বিক্রি করেন ও প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত বিশ্ব রোড মিনাজপুর লেবু মিয়ার বাড়ির নিকট হইতে নদীর পাড় পর্যন্ত সড়কের এইচ.বি.বি সড়কের উন্নয়ন কাজে রাস্তার ইট উঠাইয়া বিক্রি এবং স্থাবর সম্পত্তির ১% আয়, এ.ডি.পি, কাবিখা/কাবিটা, টিয়ার, টেক্স/ট্রেড লাইসেন্স এর আয়, বয়ষ্ক বাতা/বিধবা ভাতা/পঙ্গু বাতা, জিয়ার, বি,জি,এম, বি.জি.টি, খাদ্য বান্ধব, প্রধান মন্ত্রীর করুনা খালিন ২৫০০/-টাকা ও নিজ গ্রাম হইতে নিজস্ব শ্রমিক নিয়োগ ও ভুয়া প্রকল্প তৈরি সহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রিতির মাধ্যমে দূর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয় অবগত হয়ে আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের বিল বন্ধ রেখেছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন