জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনি গ্রেফতারের পর তার বাবা মায়ের ছবি নেটজগতে ভাইরাল হয়েছে।
ছোটবেলায় বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছেন পরীমনি। এই নায়িকা প্রায়ই বলতেন, এগুলো তার জীবনের সবচেয়ে ‘অন্ধকার’ অধ্যায়।
১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে পরীমনির মা সালমা আগুনে পুড়ে মারা যায়। তার মৃত্যুর বিষয়টি অনেকটা রহস্যময়। এরপর থেকে পরীমনিকে তার বাবা সঙ্গে রাখতেন। পরী মাঝে মধ্যে বরিশালে তার নানা বাড়ি গিয়ে থাকতেন।
পরিমণির ছোট খালা তাসলিমা পাপিয়া বলেন, ২০১২ সালে খুন হন স্মৃতির বাবা মনিরুল ইসলাম। মূলত চাকরি চলে যাওয়ার পর তিনি তার গ্রামের বাড়িতে থেকে ব্যবসা করতেন। আমরা শুনেছি, সেই ব্যবসার বিরোধ নিয়ে রাতের অন্ধকারে তাকে শত্রুরা কুপিয়ে মেরে ফেলে। স্মৃতির মা মারা যাওয়ার পরে ওকে আমরাই লালন-পালন করে বড় করেছি।
এরপর সাভারে তার এক খালার বাসায় থাকতেন পরীমনি। এ সময় মিডিয়ার দিকে ঝোঁকেন তিনি। ২০১৪ সালে এক নাট্যপরিচালকের একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়া হয়। নাটকটি এসএ টিভিতে প্রচার হয়েছিল। সেই থেকে পরীমনি মিডিয়ার নানা প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলে যান। নাটক থেকে চলচ্চিত্রে গিয়ে প্রভাবশালীদের ছায়ায় থেকে একের পর এক সিনেমা শুরু করেন।
মাত্র ছয় বছরের ক্যারিয়ারে ৩০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শীর্ষ নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর আলোচিত পর্দায় প্রীতিলতা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখনই ঘটে গ্রেফতারের ঘটনা।
গত বুধবার বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন