অন্তরালে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত পরীমনি : সিআইডি

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

মাদকসহ আটক চিত্রনায়িকা পরীমণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্তরালে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সংক্রান্তে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে আছে বলেও জানা গেছে।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরী মণিকে এবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

 

সে রিমান্ড শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পরী মণির আইনজীবী মজিবুর রহমান। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ পরী মণির জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সকালে হঠাৎ করেই সিআইডি পরী মণির আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে। সেই কারণে বিচারক আগামীকাল বৃহস্পতিবার পরী মণির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

সিআইডি কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেন, ‘পরী মণিকে রিমান্ডে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের শেষ দিকে আসামি মামলার ঘটনা ও ঘটনার নেপথ্যে মূল হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরী মণিকে ইতিপূর্বে আদালতের আদেশে পুলিশ রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তার সঠিকতাসহ মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের গ্রেপ্তার, মাদকদ্রব্যের মজুদ উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসার পেছনে অর্থের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, পরী মণিকে রিমান্ডে পাওয়া গেলে মাদক ব্যবসায়ী মূল হোতাদের গ্রেপ্তার, মাদকদ্রব্যের অবৈধ উৎসসহ অপরাধীদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হবে। পরী মণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্তরালে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

গত ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র‍্যাব। তাঁর ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। পরদিন বিকেলে পরী মণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাঁদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও মো. সবুজ আলীকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷ রাত ৮টা ২৪ মিনিটে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলায় তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর ১০ আগস্ট পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরী মণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন