২১ আগস্টকে বাংলাদেশের রাজনীতির কালো অধ্যায় হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে যে, রাজনীতি ভয়াবহভাবে দুর্বৃত্তায়িত হলেই ২১ আগস্টের মত হামলার ঘটনা ঘটা সম্ভব। এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ন্যায়বিচারের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরও সজাগ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সকল পক্ষকেই মনে রাখতে হবে, প্রতিহিংসার কোন রাজনীতি কখনো কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে আজ এক ধরনের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্ঠি হয়েছে। যার দায় ৫০বছরের শাসকগোষ্টি এড়াতে পারে না।
শনিবার (২১ আগস্ট) 'রক্তাক্ত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস' উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ২১ আগস্টের ভয়াবহ সেই গ্রেনেড হামলার আড়ালে প্রকৃত সত্য কী, দেশবাসীর সামনে তা উদঘাটিত হওয়া জরুরি ছিল। এ ঘটনা বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই বিবেচিত হবে সকল সময়। এই কলঙ্ক মুছে ফেলা প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশের জনগন কখনো এই ধরনের হিংসাত্মক রাজনীতিকে গ্রহন করে না, করতেও চায় না। তাই এই ধরনের হিংসাত্মক রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন জাতীয় এজেন্ডা নির্ধারন ও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যেসব আসামির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, দায় তাদেরই, সমগ্র রাজনৈতিক দলের নয়- সবার মধ্যে এ উপলব্ধিও থাকা উচিত। দলের বিশেষ ব্যক্তি বা গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা মানে সমগ্র দলের সংশ্লিষ্টতা নয়- এ উপলব্ধি থেকে দলীয় হাইকমান্ডের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।
নেতৃদ্বয় বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা শেষ হয়ে যাবে না। জাতীয় স্বার্থে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে সকল রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। রাজনীতিতে মত-পার্থক্য থাকবে, মতবিরোধ থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা থাকতে পারে না। প্রতিহিংসার রাজননীতর অবসান ঘটাতে না পারলে এবং বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সদাজাগ্রত রাখতে না পারলে বিপদ আসন্ন, এটা বলা নিশ্চয়ই অসঙ্গত হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন