নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে ব্যক্তির শাস্তি দেওয়া হলেও সমাজের তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব। একই সাথে নারী নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জাতীয় নারী আন্দোলন আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের অনেক মামলা হয়। দীর্ঘসূত্রতার কারণে সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনা আস্তে আস্তে ভুলে যেতে থাকেন। সব মিলিয়ে মামলাগুলো একসময় হারিয়ে যায়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের অপব্যবহার করে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এতে যাঁরা প্রকৃত ভুক্তভোগী তাঁদের বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রতার শিকার হতে হচ্ছে। সে কারণে আইনজীবী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আরও সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত তিন দশকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও শিশু সুরক্ষায় বাংলাদেশে আইনি কাঠামো শক্তিশালী হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নারীদের প্রতি পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা খুব একটা কমেনি। বরং দিন যত যাচ্ছে পরিবারে ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীরা নানা সংকটে পড়ছে। রাষ্ট্র বা সরকার নারীদের মর্যাদা রক্ষার জন্য নানা উদ্যোগ নিলেও সমাজ ও পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টানোয় নারীরা অনেকের সঙ্গে থেকেও অসহায় বোধ করে। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থায় সহিংসতা বা সংকটের শিকার অনেক নারী আইনের আশ্রয়ও নিতে ভরসা পায় না।
জাতীয় নারী আন্দোলনের সমন্বয়কারী শান্তা আক্তার রত্নার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বকারীয় প্রভাশিকা শিউলী সুলতানা, রিভা আক্তার, সুলতানা রাজিয়া, ফাতেমা আক্তার লাকি প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন